উপজেলা শিক্ষা অফিসার সামালগীর আলমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাড়িওয়ালা, জোড়পূর্বক বাড়ি দখল, আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে হুমকি ধামকি পরিশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীকে মারধর।
"২৭/০৮/২০২১ রাত ১২ টা বাজে তখন, প্রসব যন্ত্রণায় সে এতোই ক্লান্ত, যায়গা থেকে নড়তে পারছিলনা মা কুকুরটি, অবশেষে রাস্তার পাশেই এক এক করে নয়টি ছানা প্রসব করে।
মেঘলাচ্ছন্ন আকাশ , যে কোনো মুহূর্তে বৃ্ষ্টি নামতে পারে কিন্তু মাথার উপরে বিস্তৃত আকাশে ধূসর মেঘেদের ডাকাডাকি। "জন্মই যেনো আজন্মা পাপ" মাতৃত্বের এমন নির্মম পরিস্থিতি প্রত্যক্ষদর্শীর অনুভূতি আকর্ষণ করবেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র সৈয়দ মোহাম্মদ জাকির, যার দেশ বিদেশে ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট হিসেবে বেশ সুখ্যাতি আছে, তার সুখ্যাতির চিত্র আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোতে প্রচারিত হয়েছে ।dailystar, dailystar, বৃটিশ হাই কমিশনে live art performance -এ তিনি বাংলাদেশের সুনাম পৌঁছে দিয়েছেন link, link, link।
মোহাম্মদপুর আদাবর থানা , শেখেরটেক ৮ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়িটির দখলসূত্রে জমির মালিক জনাব শহিদুল হক বিল্ডার্স কোম্পানির সহযোগিতায় ১০ টি ফ্ল্যাট সম্পন্ন ৬ তলা বাড়ি নির্মাণ করে পাচটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেয় এবং আরো চারটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে ওনার মেয়ে ও মেয়ের জামাইএর কাছে বাড়িটির দেখাশোনার দায়িত্ব প্রদান করে তিনি অন্যত্র বসবাস করেন।
এমতাবস্থায় , বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ , পরিচর্যা, সৌন্দর্য বর্ধনে সৃজনশীল চর্চা সহো সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতেও একের পর এক বাধা দিয়ে আসছে বাড়িটির একটি ফ্ল্যাট ক্রেতা ও তার ভাড়াটে সামালগীর আলম ( উপজেলা শিক্ষা অফিসার , রায়পুরা - ২০২১ ) স্থায়ী ঠিকানা- আড়াইসিধা, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং মাসুদ হোসেন ( ব্যবসায়ী) , গ্রাম- উত্তর তারাবুনিয়া, চান্দেরহাট, রাজাপুর, ঝালকাঠি।
ঘটনার বৃত্তান্ত :-
কুকুরটি প্রথমতো এই বাড়িটির গেইটের পাশে গাছ লাগানোর খুপরিটিতে আশ্রয় নেয়, এই বাড়িটিরই মাসুদ নামের এক ভাড়াটে দারোয়ান দিয়ে কুকুরটিকে তাড়িয়ে দেয়।
মাতৃত্বের প্রতি এমন নির্মমতা বাড়িটির ভারপ্রাপ্ত কর্তা ইমনের হৃদয়ে প্রতিবাদের হুঙ্কার জাগিয়ে তোলে, নিজের বাড়ি হওয়া সত্তেও একটি বিশেষ যায়গা সে ব্যবহার করতে পারছে না কুকুরটিকে আশ্রয় দেয়ার জন্য।
অবশেষে 'বৃষ্টি এলেই সকল বাঁধা ওপেক্ষা করে কুকুরটিকে ছানাসমেৎ সেই খুপরিতেই তোলে দিবে বলে অনড় ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন।
পরদিন ২৮ তারিখ শনিবার রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে উপায় না খুঁজে পেয়ে বিভিন্ন প্রাণী অধিকার রক্ষা সংগঠন এবং সুশীল সমাজের উদ্দেশ্য ফেসবুকে বৃত্তান্তমূলক পোষ্ট দেন সৈয়দ মোহাম্মদ জাকির, link , তৎক্ষণাৎ কুকুরটির পাশে ছুঁটে আসে দিপানিতা রীদি (CEO) at ALB Animal Shelter এবং প্রগতিশীল প্রাণীপ্রেমী সচেতৎ প্রতিবেশীরা এবং পর্যবেক্ষণ সহো কুকুরটিকে খাবার দিয়ে যায়।
অপরদিকে একই দিনে প্রাণী অধিকাররক্ষা সংগঠনের CEO দিপানিতা রিদি ভাড়াটে মাসুদ এবং সামালগীর আলমকে প্রাণী অধিকার রক্ষা আইন বুঝাবার চেষ্টা করলে অকথ্য ভাষায় অপমানিত হয়েছেন বলে তার এর ডিভিও লাইভে একথা বলেন তিনি, এবং মামলা মোকদ্দমা করলেও কুকুরটি এ বাড়িতে থাকতে পারবেনা বলে হুসিয়ারি করেছেন বলেও জানিয়েছেন রিদি তার লাইভে ,সাংগঠনিক ভাবে জিডি করার উদ্দেশ্যে আদাবর থানায় গেলে পুলিশ জিডি লিখেনি। link
২৯ তারিখ রবিবার বৃষ্টি আসায় সৈয়দ জাকির তার সহযোগীদের সহযোগিতায় কুকুরটিকে ছানাসমেৎ উক্ত নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করে এবং এই প্রেক্ষিতে ফেসবুকে আবারো স্ট্যাটাস দিয়ে জানান তিনি। link
পরদিন সোমবার ৩০ তারিখ বেলা ১২ টা নাগাদ সৈয়দ মোহাম্মদ জাকির (ইমন) কে ফোন করে হুমকিসরূপ নিচে ডাকায় সামালগীর ও তার গং।
আগামশঙ্কার আভাস পেয়ে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক মুঠোফোনের ক্যামেরা চালু করে ঘটনাস্থলে যান ইমন ও তার সহযোগী চারুকলার ছাত্র আনান , রাহাত ও প্রাণী প্রেমী মাহিন।
মারমুখো অবস্থায় প্রথমেই মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাহিনের এবং রাহাত ভিডিও করায় তাকে চোর চোর বলে গণপিটুনিতে হত্যার চেষ্টা চালানো হয় এবং ইমনকে বার বার মারমুখো ধাক্কা দেয় সামালগীরের ভাড়াটে সন্ত্রাসী যা ভিডিও ফুটেজে উঠে এসেছে। আনান, মাহিন সহো রাহাত এবং ইমন সকলেই শারেরীর নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
link -1, link-2, link-3 , link-4
এবং এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে অন্যান্য সংগঠনের বিভিন্ন কর্মীরা এবং পুলিশের সহায়তায় কুকুরটির অপসারণ রোধ করা গেছে কিন্তু শারেরীক টর্চারিংএর কোনো বিচার পাওয়া যায়নি।
একই এলাকায় থাকতে হবে বলে পুলিশই হুসিয়ারি দিয়ে মিলিয়ে দিয়ে যায় । মিটিং চলাকালীন কিছু ফুটেজ link , link ।
পরবর্তীতে আদাবর থানায় এই সংক্রান্ত জিডি করেন সৈয়দ মোহাম্মদ জাকির , জিডি নং - ১৩০৫ ।
১-০৯-২০২১ ইং বোধবার বাড়িটিকে সিসিটিভি ক্যমেরার আওয়তায় আনার চেষ্টা করলে আবারো বাঁধা দেয় ভাড়াটে মাসুদ।
সৈয়দ মোহাম্মদ জাকিরের ভাষ্যমতে এরা বাড়িটিতে ওঠার পর থেকেই বাড়িটিকে নিজেদের দখলে নেবার পরম চেষ্টায় নিয়োজিত।
মাসুদের বসবাসরত ফ্ল্যাটের মালিক হচ্ছেন ইভা মির্জা অর্থাৎ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সামালগীরের স্ত্রী।
তবে অনুসন্ধানী বিশেষ কিছু প্রতিবেদনে উঠে আসে সামালগীরের কিছু বিশেষ বিশেষ দুর্নীতির অভিযোগ।
"২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে ইত্তেফাক পত্রিকার একটা বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে 'মাউশি অধিনস্ত আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে চলছে মিলেমিশে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ' নামে একটা প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনে এমপিওভুক্ত করে দেয়ার নামে কর্মচারী থেকে শুরু করে অসংখ্য শিক্ষকদের থেকেও টাকা আত্মসাৎ করার মতো অপরাধে জড়িত একটি তালিকায় পাওয়া গেছে চরফ্যাশন উপজেলায় শিক্ষা অফিসার হিসেবে নিয়োজিত থাকা সামালগীরের নাম।" zoombangla, সময়ের চিত্র, ইত্তেফাক,
________________________________________

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন